তাফসীরে সূরা ইনশিকাক [আয়াত-ক্রম : ১-৫]

 

إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ (١) وَأَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ (۲) وَإِذَا الْأَرْضُ مُدَّتْ (٣) وَأَلْقَتْ مَا فِيهَا وَتَخَلَّتْ (٤) وَأَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ

তরজমা

(১) যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে।

(২) এবং সে তার প্রতিতপালকের নির্দেশ শ্রবণ করবে। আর সে (আকাশ) তারই (সে নির্দেশ পালনেরই) যোগ্য।

(৩) যখন জমিনকে বিস্তৃত করা হবে।

(৪) এবং সে স্বীয় গর্ভস্থ বস্তুগুলিকে বাইরে ফেলে খালি হয়ে যাবে।

(৫) এবং সে (জমিন) তার প্রতিপালকের নির্দেশ শ্রবণ করবে আর সে (জমিন) তারই (অর্থাৎ নির্দেশ পালনেরই) উপযুক্ত।

ভূমিকা

সূরাটির নামকরণের কারণ: বিদীর্ণ হওয়া ফেটে যাওয়া ইত্যাকার শব্দ দ্বারাই সূরাটির সূচনা হয়েছে। অতএব সূচনালগ্নের শব্দটির দিক বিবেচনায়ই সম্পূর্ণ সূরাটির নামকরণ করা হয়েছে ইনশিক্বাক (বা বিদীর্ণ হওয়ার) নামে।

মূল আলোচ্য বিষয়

কিয়ামত বা পরকালই এর মূল আলোচ্য বিষয়। কিয়ামত যে নিশ্চিত বা অবধারিত এর যুক্তিও উপস্থাপন করা হয়েছে।

মানবজাতির সহজ বোধগম্য হওয়ার জন্যে মহান রাব্বুল আলামিন প্রথম পাঁচটি আয়াতে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, বিস্তৃত বিশাল আকাশ ও জমিনের প্রতি একদিন আমার পক্ষ থেকে চূর্ণবিচূর্ণ হওয়ার নির্দেশ আসবে। যেহেতু আকাশ ও জমিন আমারই সৃষ্ট তাই আমার নির্দেশ অমান্য করার কোনো সুযোগই নেই। অতএব সাথে সাথে ধ্বংস নিশ্চিত।

কিয়ামত বলতে কী বুঝায়

কিয়ামত শব্দের শাব্দিক অর্থ দাঁড়ানো, নিশ্চিত অবস্থা।

কিয়ামত দিবসে সমস্ত মানুষ একবার উঠে দাঁড়াবে এবং পরবতীর্তে আবার কবর থেকে উঠে হাশরের মাঠে দাঁড়াবে।

কিয়ামত দুই প্রকার

(১) কিয়ামতে সুগরা (২) কিয়ামতে কুবরা বা বড় কিয়ামত।

প্রত্যেক প্রাণীর মৃত্যুই তার কিয়ামত। মুগীরা ইবনু শুবা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘লোকজন কিয়ামত কিয়ামত করে, অথচ প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যুই তার কিয়ামত।’ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার একটি হাদীসে ছোট কিয়ামতের কথাই বলা হয়েছে। আয়েশা বলেন, ‘শক্ত দিলের কিছু বেদুইন নবীজির কাছে আসত এবং তাঁকে প্রশ্ন করত কিয়ামত কবে? নবীজী তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ব্যক্তির দিকে ইশারা করে বলতেন, “এ যদি বেঁচে থাকে, তাহলে এর বৃদ্ধ হওয়ার আগেই তোমাদের কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে।”’ (বুখারী, হাদীস-ক্রম : ৬৫১১)

অর্থাৎ এই বাচ্চাটি বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার আগেই তোমাদের মৃত্যু হবে।

কিয়ামতে কুবরা বা বড় কিয়ামত দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐ মহান দিবস যেদিন গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে সমস্ত প্রাণী কবর থেকে উঠে হাশরের মাঠে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে।

কিয়ামত কবে হবে

মহাপ্রলয় কখন হবে তা একমাত্র আল্লাহই জ্ঞাত। এমনকি নবী-রাসূল-ফিরিশতা- কেউই এ ব্যাপারে অবগত নন। জিবরীল আমীন আ. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি প্রশ্নকারীর চাইতে এ ব্যাপারে অধিক জ্ঞাত নন।’ (বুখারী : ৬/১১৫, মুসলিম : ১/৩৬)

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘নিশ্চয় কিয়ামতের জ্ঞান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে।’ (সূরা লুকমান)

কিয়ামত জুমুআর দিন সংঘটিত হবে

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামত জুমুআবারেই সংঘটিত হবে।’ (মুসলিম, হাদীস-ক্রম : ২০১৪)

এজন্য সমস্ত মাখলুকাত জুমুআর দিনকে ভয় করে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সূর্য উদিত হওয়া দিনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে জুমুআর দিন। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনেই তাঁকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই দিনেই তিনি ইন্তিকাল করেছেন। এই দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। মানব-দানব ছাড়া সমস্ত সৃষ্টি জুমুআর দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিয়ামতের আশংকায় ভীত সন্ত্রস্ত থাকে।’ (আবু দাউদ, হাদীস-ক্রম : ১০৪৩)

কুরআনে কারীমের ভাষায় : ‘নিশ্চয় কিয়ামতের জ্ঞান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে।’ (সূরা লুকমান)

‘তারা আপনাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলে দিন এর খবর তো আমার পালনকর্তার কাছে রয়েছে। তিনি তা যথাসময়ে অনাবৃত করে দেখাবেন।’ (সূরা আরাফ, আয়াত-ক্রম : ১৮৭)

শিঙ্গায় ফুঁৎকারের মাধ্যমেই কিয়ামত শুরু হবে। শিঙ্গা কী? আল্লামা মাহমূদ আলূসী রহ. তাঁর বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ তাফসীরে রুহুল মাআনীর ২৪ নম্বর খণ্ডের সূরা যুমারের ৪৬ থেকে ৪৮ নম্বর আয়াতের তাফসীরে বর্ণনা করেন, শিঙ্গা হলো সাদা মুতির তৈরি, কাঁচের মতো স্বচ্ছ। তাতে রয়েছে সমস্ত সৃষ্টিজীবের আত্মার সমপরিমাণ ছিদ্র এবং মধ্যখানে রয়েছে আকাশ-পাতাল দূরত্ব।

শিঙ্গায় কতবার ফুঁৎকার দেওয়া হবে? এ ব্যাপারে মুফাসসিরীনে কেরামের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেন দুইবার কেউ বলেন তিনবার আবার কেউ কেউ চারবারের কথাও উল্লেখ করেছেন।

অধিকাংশ মুফাসসিরীনের মত অনুযায়ী তিনবার ফুঁৎকার হবে। ইমাম বাইহাকী রহ. আল বা’ছু ওয়ান নূর-এর ১ম খণ্ডের ৩৩৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ও শুআবুল ঈমানের ১/৫৩৬ নম্বর পৃষ্ঠায় তিনবারের কথা উল্লেখ করেন।

ইবনু হাজার আসকালানী রহ. বলেন, ফুঁৎকার মূলত দুটিই। তবে প্রথম ফুঁৎকারে জীবিতরা মারা যাবে এবং মৃতদের রূহ আতঙ্কিত হয়ে পড়ব। আর দ্বিতীয় ফুঁৎকারে মৃতরা জীবিত হয়ে উঠবে। (যখীরায়ে মালুমাত)

কিয়ামতের আলামত

কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে কিছু আলামত প্রকাশিত হবে। আল্লামা মুহাম্মাদ আবদুর রাসূল বারানখী রা. (মৃত্যু ১০৪০হি.) তাঁর রচিত আল ইশাআহ লি আশরাতিস সা’আহ গ্রন্থে আলামতে কিয়ামতকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। ০১. দূরবর্তী আলামত ০২. মধ্যবর্তী আলামত ০৩. নিকটবর্তী আলামত।

প্রথম প্রকার আলামত : ওই সমস্ত আলামত যা পূর্বে প্রকাশ হয়ে গেছে। এগুলোকে দূরবর্তী আলামত বলা হয়। এজন্য যে, যেহেতু এগুলোর ও কিয়ামতের মধ্যখানে তুলনামূলক অনেক ব্যবধান রয়েছে। যেমন : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেরণ (৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ), চন্দ্র বিদীর্ণ হওয়ার ঘটনা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাত (১০ হিজরী), সিফফীনের যুদ্ধ (৮০ হিজরী), তাতারীদের ফিতনা (৬৫৬ হিজরী), হিজাযের আগুন (যা তাতারী ফিতনার একবছর পূর্বে মদীনা শরীফের নিকটবর্তী স্থান থেকে ৬ জুমাদাল উখরা ৬৫৪ হিজরী জুমুআবার প্রকাশ পায় এবং ২৭ রজব ৬৫৪ হিজরী রবিবার দিন মোট ৫২ দিন ধারাবাহিকভাবে প্রজ্জ্বলিত থাকার পর নির্বাপিত হয়ে যায়, এবং তা সম্পূর্ণরূপে ঠান্ডা হতে আনুমানিক তিনমাস সময় লাগে) ইত্যাদি।

দ্বিতীয় প্রকার আলামত : একে আলমাতে সুগরা বা ছোট আলামত বলে। ছোট আলামত তো অনেক। যার প্রকাশ চলমান। এখনও শেষ হয়নি। তন্মধ্যে হাদীসে বর্ণিত কয়েকটি আলামত উল্লেখ করছি। হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামক ইরশাদ করতে শুনেছি যে, “কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার আলামত হলো, দ্বীনী ইলম উঠিয়ে নেয়া হবে। অজ্ঞতা বেড়ে যাবে। যিনা-ব্যভিচার বেড়ে যাবে। প্রকাশ্যে মদপান করা হবে। পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে। নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এমনকি ৫০ জন মহিলার জন্য মাত্র একজন পুরুষ অভিভাবক থাকবে।” (তিরমিযী : ২/৪৪)

হযরত আলী ইবনু আবী তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু’র সূত্রে বর্ণিত যে, হুজুর সাল্লাল্লা বলেন, ‘আমার উম্মত যখন ১৫টি কাজে লিপ্ত হবে, তখন তাদের উপর বালা-মুসীবত আপতিত হবে।’ জিজ্ঞাসা করা হলো-‘সেগুলো কী কী?’ তিনি বলেন, ‘যখন গনীমতের মালকে ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করবে। আমানতের মাল লুটের মাল বলে গণ্য করা হবে। যাকাতকে জরিমানা মনে করা হবে। পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্য হবে। মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করবে। বন্ধু-বান্ধবকে কাছে টেনে আনবে। নিজ পিতাকে দূরেও ঠেলে দেবে। মসজিদে শোরগুল বেড়ে যাবে। ফাসেক ও বদদ্বীন লোকেরা সমাজের নেতা হবে। নীচু লোকেরা জাতির নেতৃত্ব দেবে ও তার অনিষ্ঠতার ভয়ে লোকেরা তাকে সম্মান করবে। মদপান ব্যাপক হয়ে যাবে। গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপক বিস্তার হবে। এ উম্মতের শেষ যামানার লোকেরা তাদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপর অভিসম্পাত করবে। (তিরমিযী : ২/৪৪)

তৃতীয় প্রকার আলামত : আলামতে করীবা বা নিকটবর্তী আলামত যা কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার খুবই নিকটবর্তী সময়ে সংগঠিত হবে। যেহেতু ঐ সমস্ত আলামত বিশ্বব্যাপী ও অনেক বড় বড় হবে এজন্য এগুলোকে আলামতে কুবরা বা বড় আলামতও বলে। যেমন : (১) হযরত মাহদী এর আবির্ভাব (২) দাজ্জাল বের হওয়া (৩) ঈসা আলাইহিস সালামের অবতরণ (৪) ইয়াজুজ-মাজুজ বের হওয়া (৫) ধোঁয়া প্রকাশ হওয়া (৬) পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদয় (৭) দাব্বাতুল আরদ বের হওয়া (৮) ইয়ামান থেকে আগুন বের হওয়া। অতঃপর মুমিনদের মৃত্যু হবে ও কাফিরদের উপর কিয়ামত সংঘটিত হবে। হযরত মাহদীর আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটবে তার আগমনের ইঙ্গিত বহন করবে। তন্মধ্যে ইরাক, শাম ও মিশরের আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়ে যাবে।

হাদীসের ভাষায় : ইরাকবাসীকে খাদ্য ও অর্থসম্পদ ভোগ করতে বাধা দেয়া হবে। অতঃপর শামবাসীকে তেমনিভাবে মিশরবাসীকেও তাদের অর্জিত খাদ্য ভোগ করতে বাধা দেয়া হবে। (মুসলিম শরীফ)

গবেষকদের ভাষ্যমতে, চৌদ্দশত বছর পূর্বে প্রদত্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ ভবিষ্যদ্বাণী বর্তমান ইরাকের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে সহজেই অনুমান করা যায়। হযরত মাহদীর আগমনের পূর্বে ফুরাত নদীর পানি শুকিয়ে যাবে এবং তার নিচ থেকে স্বর্ণের পাহাড় প্রকাশ পাবে। এটি আনতে গিয়ে আরব ও অনারবীদের মাঝে তুমুল লড়াই হবে। শেষপর্যন্ত কারো তা অর্জিত হবে না। (মুসলিম শরীফ)

হযরত মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বে মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে একটি সন্ধি হবে এবং উভয়ে মিলে অপর খ্রীস্টান দলের সঙ্গে যুদ্ধ করবে। মুসলমানরা তাতে বিজয় লাভ করবে। একপর্যায়ে খ্রীস্টান দলটি মুসলমানদের মধ্যকার কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে।

এ হাদীসের ভাষায়: অচিরেই তোমরা ও রোমীয়রা সন্ধিচুক্তিতে আবদ্ধ হবে। অতঃপর উভয়দল একযোগে তোমাদের শত্রু তথা অপর খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয় লাভ করবে। গনীমতের মাল অর্জিত হবে। এই যুদ্ধে তোমরা নিরাপদ থাকবে। যুদ্ধ শেষে উভয়দল এক সবুজ শ্যামল টিলাযুক্ত ভূখণ্ডের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে। হঠাৎ এক খ্রীস্টান (মুসলমানদের মনে ক্রোধ সৃষ্টি ও অঙ্গীকার ভঙ্গের লক্ষ্যে) ক্রুশকে উঁচু করে বলবে আমরা এই ক্রুশের বরকতে  বিজয় অর্জন করেছি। এই ঘোষণার ফলে একজন মুসলমান রাগান্বিত হয়ে ক্রুশকে ভেঙে ফেলবে। তখনই রোমের খ্রিষ্টানরা বিশ্বাসঘাতকতা করে সন্ধিচুক্তি বাতিল করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। অন্য এক হাদীসে আছে, ঐ যুদ্ধে মুসলমানদের নেতা শহীদ হয়ে যাবেন। তারপর খেলাফতের বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে। তা দেখে একব্যক্তি (হযরত মাহদী) মদীনা ছেড়ে মক্কা চলে যাবেন। মক্কাবাসীরা তাঁকে দেখে চিনতে পারবেন এবং হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহীমের মাঝখানে তার হাতে বাইআত গ্রহণ করবেন। হযরত মাহদী ৪০ বছর বয়সে খলীফা নিযুক্ত হবেন। ইরাক ও সিরিয়ার ওলী-আবদালরা তাঁর হাতে বাইআত করবেন। খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে জিহাদ পরিচালনা করবেন। তাদের দখল থেকে বর্তমান ইস্তাম্বুল (কন্সটান্টিনোপল) অঞ্চলসমূহ জয়লাভ করবেন। তাঁর যুগেই দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং এর পরই ঈসা আলাইহিস সালামের অবতরণ হবে। হযরত মাহদী আরব সহ সমগ্র বিশ্বের খলীফা হবেন। সাত বা নয় বছর খেলাফতের দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে তিনি ইন্তেকাল করবেন। (আবু দাউদ)

সত্য ও সুন্দরের প্রহরায় ৪৮ বছর

প্রতিষ্ঠাতা : শায়খ আল্লামা লুৎফুর রহমান বর্ণভী রহ.
নিবন্ধন নম্বর : চ-৪৭৩/০৫

সত্য ও সুন্দরের প্রহরায় ৪৮ বছর

প্রতিষ্ঠাতা : শায়খ আল্লামা লুৎফুর রহমান বর্ণভী রহ.
নিবন্ধন নম্বর : চ-৪৭৩/০৫

কপিরাইট © ২০২৪ | মাসিক হেফাজতে ইসলাম, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের মুখপত্র। Developed By Shabaka IT