গত দুই-তিন শতকে মানুষের চিন্তা ও চর্চায় যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে, তাতে জীবনের সকল ক্ষেত্রই প্রভাবিত হয়েছে। অনেকে এই পরিবর্তনকে নিছক দার্শনিক ও যান্ত্রিক পরিবর্তন বলে আখ্যা দেন। তবে এই পরিবর্তনের মর্ম, গুরুত্ব ও তাৎপর্য আরও অনেক গভীর। এই গভীরতা না বুঝতে পারলে আমরা অনেকেই আমাদের আশেপাশের অনেক প্রচলিত শব্দ, চিন্তা ও চর্চাকে ধরতে পারব না। এর ধারাবাহিকতায় ধর্মের মর্ম ও ভূমিকাতেও অনেক পরিবর্তন ও রূপান্তর এসেছে; যদিও ধর্মের মৌলিক শব্দকাঠামো ও চর্চা থেকে গেছে আগের মতোই।
বিস্তারিতভাবে ধর্মীয় সব শব্দকাঠামো ও চর্চার মর্ম ও ভূমিকাগত রূপান্তর ব্যাখ্যা করা সময়সাপেক্ষ বিষয়, আমরা বরং এখানে খোদ ধর্মের মর্ম ও তাৎপর্যের রূপান্তর ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব। একে চূড়ান্ত লেখা হিসেবে না দেখে প্রাথমিক খসড়া ও আলাপ হিসেবে দেখলেই ভালো হবে; আদতে কোনো লেখাই প্রথম বা শেষ লেখা নয়, লেখা মানেই ধারাবাহিক বহুমুখী প্রচেষ্টার সিলসিলা। পাঠক যদি এর সাথে তাঁদের মত ও মন্তব্য সংযুক্ত করেন, তাতে সমবায়ী প্রক্রিয়ায় সমকালীন সময়ের সবচেয়ে জটিল আলোচনা পরিপূর্ণতা পাবে।
সামাজিক জাহেলিয়াত ও মানসিক অস্থিরতা
ধর্ম মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। ধর্মে অবিশ্বাস করা খুবই কঠিন, যতটা সহজ মনে হয়, ততটা সহজ কিন্তু নয়। ধর্ম যেভাবে পৃথিবীর আদি-অন্ত ব্যাখ্যা করতে পারে, পৃথিবীতে মানুষের মাকসাদ ও গল্প বর্ণনা করতে পারে, ধর্ম ছাড়া এর ব্যাখ্যা সহজসাধ্য নয়। ফলে, এক কথায়, ধর্মে অবিশ্বাস জনপ্রিয়ও নয়। এবং এখানেই প্রশ্ন সৃষ্টি হয়। মানুষ তো শান্তি পাচ্ছে না। মানুষের প্রশ্নের শেষ হচ্ছে না। মানুষ কাঁদছে। চারদিকে রক্ত ঝরছে, এসব কিছু মিলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এসবে সৃষ্টি হচ্ছে সংশয়। আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল একেই শেকওয়া হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কুরআন ও হাদীসে একে ফিতনা ও পরীক্ষা হিসেবে বর্ণনা করা হয়। মানুষের পার্থিব সুখ-দুঃখ-কষ্ট বৃহত্তর পরীক্ষার অংশ। সুখটাও পরীক্ষা, দুখটাও পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নাজাত লাভ করতে হলে বিশেষ শক্তির প্রয়োজন হয়। আধুনিক মানুষ সংশয়প্রবণ ও দুর্বল; মানসিক বিষাদ, ক্লান্তি ও অস্থিরতায় সে সামাজিক জাহেলিয়াতে প্রভাবিত হয়, হারিয়ে ফেলে স্বভাবজাত বিশ্বাস।
‘চুপটি করে বোবার মতন শুনব কি গান বুলবুলির?
ফুল কি আমি? ফুলের মতোই রইব নীরব নর্মশীর?’
আধুনিক মানুষের কাছে থাকে না জীবন-জগতের সহজাত ব্যাখ্যা ও গল্প। সে হারিয়ে ফেলে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য ও মর্ম। শূন্যতা পূরণের জন্য তাই তার বিশেষ বিনোদন, তাত্ত্বিকতা ও বিকৃত শিল্পের প্রয়োজন হয়। প্রদর্শনকামিতা, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ও মানসিক অস্থিরতা আধুনিক মানুষের মৌলিক বৈশিষ্ট্য হয়ে ওঠে। এখানেও কুলিয়ে উঠতে না পারলে আত্মহত্যা ছাড়া তার আর কোনো পথ বাকি থাকে না। এখানে কয়েকটা সুসাইড নোট বর্ণনা করা যাক।
*I am going to put myself to sleep now for a bit longer than usual. Call it Eternity― Kosinski, Jerzy
*I also then think why would god who created the beautiful Earth let Humans suffer and act the way they do. But I then realize that god has left you and everyone else a long time ago. This is the reason why I do not live my life for him. Because in the end, the only god who is always guaranteed to call for you by name, is Death.― JD Taylor
মাহমুদ দারবিশ পার্থিব জীবনকে তুলনা করেছেন সফরের সাথে এবং তুলে ধরেছেন আধুনিক মানুষের বিপর্যয়। কবিতাটা বেশ বড় হলেও নানামাত্রিক অস্থিরতা এর থেকে বুঝা যায়—
‘আমার কিছুই ভালো লাগে না’– বাসযাত্রী এক মুসাফির বলে ওঠে
‘না রেডিও, না সকালের সংবাদপত্র, না পাহাড়ের উপর দুর্গ।
আমি কাঁদতে চাই।’
চালক বলল, ‘বাসস্টেশনে পৌঁছার অপেক্ষা কর;
এরপর একাকী যত ইচ্ছে কেঁদো।’
এক ভদ্রমহিলা বলে ওঠে, ‘আমারও কিছু ভালো লাগে না।
আমার ছেলেকে আমার কবর দেখালাম,
তার সেটা ভালো লাগল এবং সে সেখানে ঘুমিয়ে পড়ল; আমাকে বিদায়ও জানাল না।’
ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র বলে উঠল, ‘আমার কিছুই ভালো লাগে না
আমি আর্কিওলজি পড়লাম, কিন্তু পাথরে কোনো পরিচয় খুঁজে পেলাম না।
আমি কি সত্যিই আমি?’
এক সৈন্য বলে ওঠে, ‘আমারো কিছু ভালো লাগে না।
প্রতিনিয়ত আমি আমাকে পাকড়াওকারী ভূত পাকড়াও করে বেড়াই।’
স্নায়ুতন্ত্রের চালক বলে ওঠে, ‘এই যে!
আমরা আমাদের শেষ স্টেশনের নিকট চলে এসেছি, নামার প্রস্তুতি নাও।’
তারা চিৎকার করে বলে ওঠে, ‘আমরা স্টেশনের পরে যা আছে তা চাই; সামনে চলো!’
কিন্তু আমি বললাম, ‘আমাকে এখানেই নামিয়ে দাও। আমিও তাদের মতো।
আমারও কিছুই ভালো লাগে না।
কিন্তু আমি সফরে সফরে হয়ে পড়েছি ক্লান্ত।’
প্রাথমিক রূপান্তর : ধর্মের ব্যবহারিক ব্যাখ্যা
আধুনিক মানুষ নানাভাবে তার এই অস্থিরতা, ক্লান্তি ও অর্থহীনতা কাটাতে চায়। মাহমুদ দারবিশ যেমন বলেছেন, আধুনিক মানুষের অস্থিরতার শেষ নেই, এই অর্থহীনতা নিয়েই সে বেঁচে থাকতে চায়, চূড়ান্ত অসম্ভব হলে আত্মহত্যা করে ফেলে। বিনোদন ও ভোগবিলাসের পাশাপাশি এই অস্থিরতা-অর্থহীনতা কাটানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে তাত্ত্বিকতা। জীবনের সহজাত ও সরল মর্ম উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে আধুনিক মানুষ নানারকম জ্ঞানতত্ত্ব ও অধিবিদ্যায় সত্য ও মর্ম জানার চেষ্টা করে। সবকিছু যৌক্তিক ও স্বীকৃত বানানোর চেষ্টা করে।
আপনি যে প্রক্রিয়ায় কোন তথ্য ও তত্ত্ব যাচাই করবেন, সেটিই আপনার জ্ঞানতত্ত্ব। যে ভিত্তি ও মর্মকে কেন্দ্রীয় বানিয়ে সবকিছু ব্যাখ্যা করবেন, সেটিই আপনার অধিবিদ্যা। আধুনিক মানুষের মানসিক অস্থিরতায় তার ধর্মীয় বোধ ও বুঝাবুঝি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেটা আগেই বলেছি। পাশাপাশি বস্তুজগতের জন্য ব্যবহারিত জ্ঞানতত্ত্ব ও বস্তুজগতের আলোকে গৃহীত অধিবিদ্যায় ধর্ম তার কাছে অযৌক্তিক বা ‘প্রান্তিক’ মনে হয়েছে। তাই হয়তো সে ধর্মকে অস্বীকার করেছে বা নতুনভাবে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন অনুভব করেছে। যার প্রথমেই উঠে এসেছে ধর্মের ব্যবহারিক ব্যাখ্যা।
স্রষ্টার অস্তিত্ব বা ধর্মের সত্যতা নিয়ে অনেক বিতর্ক করা যায়, তবে এর ব্যবহারিক ও নৈতিক দিককে অস্বীকার করা কোনভাবেই সম্ভব। ধর্ম চুরি করতে নিষেধ করেছে, এতে আপনি সংশয় প্রকাশ করতে পারেন, তবে মৌলিকভাবে চুরি করা নিষিদ্ধ—এটি অস্বীকার করা প্রায় অসম্ভব। তাই আধুনিক কালের শুরুতে ধর্মের নৈতিক দিক রক্ষা করা বা ধর্মের ব্যবহারিক আলোচনা বিশেষ গুরুত্ব পায়। তবে এখানেও নানারকম প্রশ্নের সূচনা ঘটে। প্রশ্নের সমাধান না করা গেলে ধর্মীয় সেই বক্তব্যকে রূপক বা সাময়িক হিসেবে আখ্যা দেওয়ার ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়।
মুশকিল হচ্ছে, যার মৌলিক অস্তিত্ব ও প্রামাণ্যতা নিয়ে আপনি সন্দিহান, তার ব্যবহারিক নৈতিকতা নিয়েও তো নানারকম সন্দেহ তৈরি হবে। শুধু নৈতিক ভিত্তি নিয়েও সন্দেহ তৈরি হবে না, খোদ আপনার পরিচয় ও অস্তিত্ব নিয়েও সংশয় তৈরি হবে। ধরা যাক, খ্রিষ্টান ধর্মে সন্দেহ রেখে আপনি কি খ্রিষ্টীয় নৈতিকতা ও পরিচয় গ্রহণ করতে পারেন, আপনি কি হতে পারবেন ‘অবিশ্বাসী খ্রিষ্টান’?
পবিত্র কুরআনের দুটি আয়াত এখানে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখো, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর শান্তি পায়।’ [সূরা রাদ : ২৮] ‘তোমরা তাদের মতো হয়ো না, যারা আল্লাহ তাআলাকে ভুলে গেছে। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে আত্মবিস্মৃত করে দিয়েছেন। [সূরা হাশর : ১৯]
চূড়ান্ত রূপান্তর : ধর্মের সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যা
যদি ধর্মের বিশ্বাসগত ও নৈতিক ভিত্তি ও প্রামাণ্যতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে ধর্ম কাকে বলে? পিউ রিসার্চ সেন্টার বছর কয়েক আগে আমেরিকান ইহুদীদেরকে এই প্রশ্ন করেছিল। তাদের প্রায় ষাট ভাগের মতে ধর্মীয় পরিচয়ের মূল ভিত্তি সংস্কৃতি ও বংশগত সিলসিলা, মাত্র পনের ভাগ মনে করেন, ধর্মের মানে বিশ্বাস ও নৈতিকতা। শতকরা নব্বই ভাগ ইহুদী নিজেদের ইহুদী পরিচয় নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও একশোজনের প্রায় ষাটজন ইহুদী বিশ্বাসকে ধর্মের কেন্দ্রীয় বিষয় বলে মানেন না, তাদের কাছে ধর্ম সাংস্কৃতিক ও জাতীয়তাবাদী ব্যাপার।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে অধিকাংশ ইহুদী ধর্মীয় আইন ও নৈতিকতাকে জরুরী মনে করেন না। নবী-রাসূলের চাইতে তাঁদের কাছে ইহুদী অভিনেতা ও রাজনীতিবিদদের বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। স্রষ্টা ছাড়া কোন ধর্ম হতে পারে বা ধর্মীয় আইন-নৈতিকতা কি অপ্রয়োজনীয়? শুধু আমেরিকান ইহুদীরাই নাই, পশ্চিমা জগতের খ্রিষ্টানদের উল্লেখযোগ্য অংশের মধ্যেও স্রষ্টা, ধর্মীয় আইন ও নৈতিকতার চেয়ে ধর্মীয় সাংস্কৃতিক ও জাতীয়তাবাদী পরিচয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ডোনাল্ড ট্র্যাম্প বা বরিস জনসন পশ্চিমা খ্রিষ্টানদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। অথচ বরিস জনসন বিবাহ ছাড়াই প্রেমিকার সাথে লিভটুগেদার করছেন, ট্র্যাম্পের বিতর্ক তো অসংখ্য। এর থেকে পশ্চিমা ধর্মীয় রাজনীতির প্রকৃতি বুঝা যায়।
ধর্মীয় রাজনীতি কি ধার্মিকতা বা ধর্মের মূল মর্মের স্থলাভিষিক্ত হতে পারে? রাজনৈতিক সফলতা যে ধর্মীয় পতন ঠেকাতে পারে না, এর ভালো দৃষ্টান্ত আমেরিকান ইহুদীরাই। আমেরিকান আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে রাজনৈতিকভাবে তারা অত্যন্ত সফল, তবে রাজনৈতিক সফলতা যখন ধর্মীয় মূল্যবোধ কেন্দ্রিক না হয়ে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতি কেন্দ্রিক হয়ে যায়, তখন এতে ধর্মীয় বিকার ও বিকৃতি ঠেকানো যায় না। ঘরের আগুনে পুড়ে যায় ঘরের আসবাব ও সামান; একসময় খোদ ঘরটাই নাই হয়ে যায়।
ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি : আকীদা ও বিশ্বাস কেন গুরুত্বপূর্ণ?
মুসলমানদের মধ্যেও আধুনিকতার হাওয়া ভালোভাবেই লেগেছে। মুসলিম জাতীয়তাবাদ ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের ব্যাপকতাও দেখা যাচ্ছে দেশে দেশে। পাকিস্তান গঠন ও পতনে এই ধারা ও প্রবণতা বিশেষভাবে ভূমিকা রেখেছিল। অনেকে আকীদা ও বিশ্বাসে গুরুত্ব না দিয়ে মুসলিম জাতীয়তাবাদ ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ে গুরুত্ব দেবার বিষয়ে জোর দেন। তবে আমেরিকান ইহুদীদের ক্ষেত্রেও আমরা যেমনটা দেখেছি, এই রূপান্তর ধর্মের বিকার ও বিলয়ের বিপদই ডেকে আনতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, আকীদা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে খলিফা হিসেবে প্রেরণ করেছেন। জীবন ও জগতকে তিনি অর্থহীন বানাননি; প্রদান করেছেন ভালো-মন্দের মাপকাঠি।
‘আমি নভোমণ্ডল, ভুমণ্ডল এবং এতদুভয়ের মধ্যবর্তী যা আছে তা তাৎপর্যহীন সৃষ্টি করিনি।’ [সূরা হিজর : ৮৫] ‘আমার ইবাদাত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।’ [সূরা যারিয়াত : ৫৬]
এর অংশ হিসেবে আল্লাহ মানুষকে দিয়েছেন বুদ্ধি, জ্ঞান, ইচ্ছা ও শক্তি। এগুলো সাধারণ কোনো গুণ নয়। এগুলো আল্লাহ তাআলার সিফাতের তাজাল্লী; ফলে এর বিশেষ সক্ষমতা আছে। অনেকটা দোধারী তরবারির মতো; আপনি এই গুণগুলোকে সঠিক কাজে না লাগাতে পারলে সেগুলো আপনাকে ধ্বংস করে দিবে। এই ধ্বংসাত্মকতা থেকে বাঁচাতে বিশ্বাসের কোনো বিকল্প নেই।
আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালার সামনে এই আমানত পেশ করেছিলাম, তারপর তারা একে বহন করতে অস্বীকার করল এবং এতে ভীত হল; কিন্তু মানুষ তা বহন করল। নিশ্চয় সে জালেম-অজ্ঞ। [সূরা আহযাব : ৭২]
বিশ্বাসের প্রশ্নের সমাধান না করে সংস্কৃতি, জাতীয়তা, আইন বা নৈতিকতার সমাধান করা যাবে না। কেননা তাতে বুদ্ধি, জ্ঞান, ইচ্ছা ও শক্তির মতো গুণগুলো ভুল পথে ব্যবহার করার সমূহ আশঙ্কা তৈরি হয়। জীবন ও জগত হয়ে উঠে অর্থহীন। মানুষ মানসিকভাবে অস্থিরতায় ভোগা শুরু করে।
‘যখন খাঁটিভাবে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর সংকুচিত হয়ে যায়, আর যখন আল্লাহ ব্যতীত অন্য উপাস্যদের নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন তারা আনন্দে উল্লসিত হয়ে ওঠে।’ [সূরা যুমার : ৪৫]
লেখক : তরুণ চিন্তক ও আলেম