আমরা গত সংখ্যায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনন্য ও অন্যতম বৈশিষ্ট্য ‘জাওয়ামিয়ুল কালিম’ (সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যাপক অর্থবোধক কথা বলার যোগ্যতা) সম্পর্কে আলোকপাত করেছিলাম। এ সংখ্যায় আমরা এ বৈশিষ্ট্যের দু-চারটি উদাহরণ পেশ করব, যাতে বিষয়টি পাঠকদের সামনে আরও পরিষ্কার হয়ে ওঠে।
সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- إنما الأعمال بالنيات ‘সকল আমল নিয়তের উপরই নির্ভরশীল।’ (বুখারী, হাদীস-ক্রম : ১)
এটি রাসূলের বাণী। এ থেকে কয়েকটি মাসআলা বের হয়, একটু বোঝার চেষ্টা করুন। আমাকে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল যে, ‘আপনারা জানাযার নামাযের সময় জানাযা আরম্ভ হওয়ার পূর্বে কি প্রায়ই মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে এ ঘোষণা করে থাকেন-আপনারা আল্লাহ তাআলার জন্য চার তাকবীরের সাথে এই ইমামের পেছনে জানাযার নামায পড়ার নিয়ত করুন?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, আমরা এই ঘোষণা দিয়ে থাকি।’ লোকটি বলল, ‘আপনারা এই যে নিয়ত করিয়ে থাকেন এটা কোথায় লেখা আছে?’ আমি বললাম, ‘সহীহ বুখারীতে লেখা আছে।’ জানতে চাইল, ‘বুখারীর কোন হাদীসে?’ আমি বললাম, ‘বুখারীর প্রথম হাদীসে।’ লোকটি বলল, ‘তাহলে হাদীসটি শোনান।’ আমি শোনালাম-‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- إنما الأعمال بالنيات “সকল আমল নিয়তের উপরই নির্ভরশীল।” নিয়ত যেভাবে আমলও হবে সেভাবে।’
লোকটি এবার বলল, ‘আপনি আমার প্রশ্নটি বুঝেননি।’ আমি বললাম, ‘আমি আপনার প্রশ্ন বুঝতে পেরেছি, কিন্তু আপনি আমার উত্তর বুঝেননি।’ সে বলল, ‘তাহলে একটু বুঝিয়ে বলুন।’ আমি বললাম, ‘আপনার প্রশ্ন ছিল, আমরা মুখে যে নিয়ত করি তা কোথায় পেয়েছি, এই তো?’ সে বলল, ‘হ্যাঁ, এটাই আমার প্রশ্ন।’ আমি বললাম, ‘আমি এজন্যই বলেছি যে, আমি তোমার প্রশ্ন বুঝেছি, কিন্তু আপনি আমার উত্তর বুঝেননি।’
এবার আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, ‘বলুন তো, আমরা কী বলি? “নিয়ত করো” বলি, নাকি “নিয়ত বলো” বলি?’ সে বলল, ‘আপনারা “নিয়ত করো” বলেন।’ আমি বললাম, ‘একটি হলো “করা” আর আরেকটি হলো “বলা”। “করা” হয় অন্তর দিয়ে, আর “বলা” হয় মুখ দিয়ে। যদি আমরা এরকম বলতাম যে, “নিয়ত বলো”, তাহলে তোমার প্রশ্নটি যথার্থ হতো যে, এটা কোথায় লেখা আছে? কিন্তু আমরা তো “নিয়ত করো” বলি। আর এটা সহীহ বুখারীর প্রথম হাদীস দ্বারাই সুপ্রমাণিত।’
নিয়ত করার প্রমাণ
লোকটি আমাকে আবার প্রশ্ন করল, ‘আপনারা যে বলেন, “নিয়ত করো” এটা কোথায় লেখা আছে?’ আমি বললাম, ‘এটাও উপরোক্ত হাদীসে আছে।’ বলল, ‘কীভাবে?’ আমি বললাম, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বলেছেন, নিয়ত যেরকম আমলও সেরকম, তাহলে এবার বলুন, কোন আমলের জন্য কোন নিয়ত হবে? যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক আমলের জন্য পৃথক পৃথক নিয়ত বলে দিতেন, তাহলে বলো তো বুখারী শরীফের কলেবর কী পরিমাণ বৃদ্ধি পেতো? শুধু এই একটি মাসআলার জন্য বুখারী শরীফ কত বিশাল হয়ে যেত না?
‘উদাহরণত ভোরে ঘুম থেকে উঠে কী নিয়ত করবেন, বাইতুল খালা বা ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় কী নিয়ত করবেন, ওযু করার সময় কী নিয়ত করবেন, কায়লুলা বা দুপুরের বিশ্রাম গ্রহণের সময় কী নিয়ত করবেন, দোকানে গেলে কী নিয়ত করবেন, শুধু এ বিষয়ে যে, কোন আমলের জন্য কী নিয়ত করতে হবে, যদি রাসূল নিজেই বাক্যগুলো বলে দিতেন, তাহলে শুধু এই একটি মাসআলার উপর কত বড় কিতাব হয়ে যেত! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- أعطيت جوامع الكلم “আল্লাহ তাআলা আমার উপর এ অনুগ্রহ করেছেন যে, আমাকে মাসআলা দান করেছেন অনেক; কিন্তু শব্দাবলি দান করেছেন অল্প।” আল্লাহ তাআলা অল্প কথায় অনেক মাসআলা রেখেছেন। এটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনন্য বৈশিষ্ট্য ও বিশেষ মর্যাদা।’
খাবারপাত্রে পোকামাকড় পড়ে গেলে
আরেকটি উদাহরণ বোঝার চেষ্টা করুন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-‘যখন তোমাদের কারও কোনো খাবারপাত্রে মাছি পড়ে, তখন তাকে পুরোপুরি ডুবিয়ে দেবে, তারপরে ফেলে দেবে। কারণ, তার এক ডানায় থাকে আরোগ্য, আর আরেক ডানায় থাকে রোগ। (বুখারী : ২/৮৬০)
এখানে দুটি মাসআলা। প্রথমত খাবারে মাছি ডুবিয়ে দেওয়া। দ্বিতীয়ত ডুবিয়ে দেওয়ার পর তা বাইরে ফেলে দেওয়া, তারপর ওই খাবার ব্যবহার করা। তন্মধ্যে একটির কারণ রাসূল নিজেই বলে দিয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয়টির কারণ তিনি বলেননি। খাবারপাত্রে মাছি পড়ে গেলে তা ডুবিয়ে দিতে হবে কেন? এর কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, মাছির দুটি ডানা থাকে। একটিতে আছে আরোগ্য, অপরটিতে রোগ। তো মাছিটি যখন ডুবিয়ে বাইরে ফেলে দেবে, তখন খাবার পূর্বের মতো হয়ে যাবে। বর্তমান আধুনিক যুগের ভাষায় এটাকে এভাবে বলা যেতে পারে যে, মাছিটি ডুবানোর কারণে খাবারের ভারসাম্য রক্ষা হয়েছে। খাবার প্রথমে বিশুদ্ধ থেকে থাকলে মাছি পড়ার কারণে দূষিত হয়ে গেছে। তো আপনি যখন মাছিটি পুরোপুরি খাবারে ডুবিয়ে দেবেন, তখন ওই আরোগ্য বিশিষ্ট ডানাটিও ডুবে যাবে। এবার রোগ চলে গেল!
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো প্রথম কথাটি বুঝিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু মাছিটি ফেলে দেওয়ার পর ওই খাবার খাওয়াও বৈধ, এর কারণ তিনি বলেননি। এর কারণ বলেছেন ইমাম আযম আবু হানীফা। তিনি বলেন, ‘যদি খাবারে মাছি পড়ে যায়, তাহলে ওই খাবার খাওয়া জায়েয আছে। কেননা, মাছির দেহের ভেতর প্রবাহমান রক্ত থাকে না। কাজেই যে-সকল প্রাণীর শরীরে প্রবাহমান রক্ত থাকে না তাদের বিধান মাছির বিধানের অনুরূপ।’ (সারাখসী রচিত আল-মাবসুত : ১/৯১)
এবার বলুন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি একেকটি প্রাণীর মাসআলা একেকটি হাদীসে আলাদা আলাদা করে বলতেন, তাহলে কত বড় কিতাবের প্রয়োজন হতো! যদি রাসীল বলতেন, খাবারে মশা পড়লেও খাবার খাওয়া জায়েয। মাছি পড়লেও জায়েয।
এ পৃথিবীতে হাজার হাজার ছোট প্রাণী বাস করে। বলুন তো, নবীজি যদি একেকটি ছোট ছোট প্রাণীর বিধান আলাদা করে বলতেন, তাহলে কত বিশাল কিতাব হয়ে যেত? নবীজি বলেছেন- أعطيت جوامع الكلم ‘আল্লাহ আমাকে জাওয়ামিয়ুল কালিম দান করেছেন।’ অর্থাৎ আমি একটি শব্দ বলি আর তা থেকে হাজার হাজার মাসআলা নির্গত হয়।
এবার কিছু আকীদা ও মাসআলা সংক্রান্ত বিষয় বুঝাবার চেষ্টা করব, যাতে আমাদের আকীদাও ঠিক থাকে এবং মাসআলাও ঠিক থাকে।
হায়াতুন নবীর আকীদা
আমাদের আকীদা-বিশ্বাস হলো, সমস্ত নবী তাঁদের নিজ নিজ কবরে যিন্দা। কেউ প্রশ্ন করতে পারে, দলীল কী? আমরা বলব, কুরআনে আছে-
ولا تقولوا لمن يقتل في سبيل الله أموات بل أحياء ولكن لا تشعرون
এ আয়াতে আল্লাহ বলছেন, যারা আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়েছে তাদেরকে মৃত বলো না; বরং তারা জীবিত।
দেখুন, কুরআনে শহীদদেরকে জীবিত বলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেও জীবিত বলে স্বীকার করতে হবে। কেননা, শহীদগণ যে মর্যাদায় ভূষিত হয়েছেন তা তো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমেই লাভ করেছেন। যদি তাঁরা রাসূলের কালেমা না পড়তেন এবং নিহত না হতেন, তাহলে তাঁরা কখনোই এ সম্মানের অধিকারী হতে পারতেন না। তাঁরা রাসূলের কালেমা পড়ে নিহত হয়েছেন বলেই তো এই মর্যাদার অধিকারী হয়েছেন। এর দ্বারা বোঝা গেল, শহীদগণ যিন্দা হলে নবীজি আরও বহুগুণ উত্তমভাবে যিন্দা। এখন আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যিন্দা বললাম আর শহীদগণের যিন্দা হওয়াকে দলীল হিসেবে পেশ করলাম।
‘নবী যিন্দা’ বললে ‘শহীদগণ যিন্দা’ বুঝে আসত না
এখন কেউ বলতে পারেন যে, দেখুন, আপনি দাবি করেছেন নবী যিন্দা আর তার পক্ষে শহীদগণের যিন্দা হওয়ার বিষয়টি দলীল হিসেবে পেশ করেছেন। তাহলে সরাসরি আল্লাহ কুরআনে বলে দিলেন না কেন যে, নবী যিন্দা? আমি বলি যে, কুরআনে বলা হয়েছে শহীদগণ যিন্দা, আর এর দ্বারা প্রমাডুত হয়েছে যে, নবী যিন্দা। শহীদগণ যিন্দা বলার দ্বারা নবীর যিন্দা হওয়ার বিষয়টি বুঝে এসেছে। পক্ষান্তরে নবী যিন্দা এ কথা বললে শহীদগণ যে যিন্দা তা বোধগম্য হতো না। এই যে আমি বললাম, নবী যিন্দা বললে শহীদগণ যিন্দা বোধগম্য হতো না, এর উদাহরণ যেমন, একজন ব্যক্তি যাকে কোনোদিন নামায পড়তে দেখা যায়নি এবং তার মুখেও দাড়ি নেই, সে রাসূলের জন্য জীবন দিলো এবং শাহাদত বরণ করল। তো সে কীভাবে যিন্দা? আমরা তাকে যিন্দা বলি না। হ্যাঁ, নবী যিন্দা। কেননা, তিনি নিষ্পাপ। তাঁর নিকট জিবরাঈল আগমন করেন। নবী যিন্দা এটা তো বুঝে আসে, কিন্তু ওই লোকটিকে যে যিন্দা তা কে মানবে? মানুষ কি এরকম প্রশ্ন করত না? অবশ্যই করত। তাই ‘নবী যিন্দা’ বললে ‘শহীদ যিন্দা’ বোধগম্য হতো না। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, শহীদ যিন্দা আর এর দ্বারা অনায়াসে ‘নবী যিন্দা’ প্রতীয়মান হয়েছে।
কাযা নামাযের মাসআলা
আরেকটি উদাহরণ দেখুন। যদি কেউ ভুলে অথবা নিদ্রায় থাকার কারণে নামায ছেড়ে দেয়, তাহলে স্মরণ হওয়া মাত্র অথবা ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া মাত্র ওই কাজা নামায পড়ে নেবে। এতে প্রতীয়মান হলো যে, কেউ যদি স্বেচ্ছায় নামায ছেড়ে দেয়, তাহলে অবশ্যই তাকে ওই নামাযও কাজা পড়তে হবে। কিন্তু সা¤প্রতিক কালের কিছু লোক বলে যে, ইচ্ছাকৃতভাবে নামায ছেড়ে দিলে ওই নামাযের কাজা নেই। তারা বলে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-‘যদি কোনো ব্যক্তি ভুলে অথবা ঘুমে থাকার দরুণ নামায ছেড়ে দেয়, তাহলে যখন নামাযের কথা স্মরণ হবে, তখন পড়ে নেবে।’
তারা বলে, এ হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথা বলেননি যে, ইচ্ছাকৃতভাবে নামায ছেড়ে দিলে কাযা করতে হবে।
আমরা বলি, ইচ্ছাকৃতভাবে নামায ছেড়ে দিলে নামাযের কাযা করতে হবে এর পক্ষে আমাদের কাছে আরও দলীল আছে। আমরা শুধু একটি দলীল পেশ করব।
খন্দকের যুদ্ধে নবীজি ও সাহাবীগণ পরিখা খনন করছিলেন। সে সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একত্রে কয়েক ওয়াক্ত নামায কাযা হয়ে যায়। তিনি পরে এর কাজা আদায় করে নেন।
লক্ষ করুন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরে কাযা আদায় করে নেন। অথচ তিনি ঘুমিয়ে যাননি এবং নামায ভুলেও যাননি। কেবল ধর্মীয় কাজে ব্যস্ত থাকার দরুণ চার ওয়াক্ত নামায ছুটে গিয়েছিল। পরে তা কাজা আদায় করে নেন।
আমাদের কাছে আরও দলীল রয়েছে। তবে শুধু নিম্নোক্ত দলীল নিয়ে আলোচনা করে ইতি টানব। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-‘কেউ নামায পড়তে ভুলে গেলে স্মরণ হওয়া মাত্র পড়ে নেবে। তদ্রূপ যদি ঘুমিয়ে যায় এবং ঘুমন্ত অবস্থায় নামায ছুটে যায়, তাহলে জাগ্রত হওয়া মাত্র তা কাজা করে নেবে ।
সাধারণ অবস্থায় মানুষের ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমাযোগ্য। কিন্তু নামায এত গুরুত্বপূর্ণ বিধান যে, তা ভুলে ছুটে গেলেও মাফ হয় না; কাজা আদায় করতে হয। তাহলে যে ইবাদাত ভুলবশত ছুটে গেলেও মাফ হয় না, সেটা ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দিলে মাফ হবে কীভাবে?
যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবে বলতেন যে, জেনে-বুঝে নামায ছেড়ে দিলে কাজা আদায় করতে হবে, তাহলে এর দ্বারা ঘুমন্ত অবস্থায় নামায ছুটে যাওয়ার মাসআলা জানা যেতো না। কেউ তখন বলতো, আমি জেনে-বুঝে নামায তরক করিনি; আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম, আমার চোখ খুলেইনি, তাই আমার নামায কাযা হয়ে গেছে। আবার কেউ এরূপ বলত যে, আমি তো নামায পড়তে ভুলেই গেছি, আমার স্মরণই নেই। তাই নামায ছুটে গেছে।
কাজেই যদি জেনে-বুঝে নামায তরক করার মাসআলা বলে দেওয়া হতো, তাহলে ভুলে নামায তরক করার মাসআলা জানা যেত না। নবীজি ভুলবশত নামায পরিত্যাগের মাসআলা বলেছেন, আর এর দ্বারা জেনে-বুঝে নামায পরিত্যাগের মাসআলা বোধগম্য হয়েছে। তিনি শব্দ বলেছেন একটি আর মাসআলা বোধগম্য হয়েছে দুটি।