عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ : تَكُوْنُ فِتْنَةٌ اَلنَّائِمُ فِيْهَا خَيْرٌ مِنَ الْيَقْظَانِ وَالْيَقْظَانُ فِيْهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ وَالْقَائِمُ فِيْهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِيْ فَمَنْ وَجَدَ مَلْجَأً أَوْ مَعَاذًا فَلْيَسْتَعِذْ
অনুবাদ :
হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘অচিরেই ফিতনা দেখা দেবে। তখন ঘুমন্ত ব্যক্তি জাগ্রত ব্যক্তি থেকে ভালো থাকবে। আর জাগ্রত ব্যক্তি তখন দাঁড়ানো ব্যক্তি থেকে ভালো থাকবে। এবং দাঁড়ানো ব্যক্তি দ্রুতগামী ব্যক্তি থেকে ভালো থাকবে। তখন যদি কোনো ব্যক্তি আশ্রয়স্থল অথবা রক্ষাস্থান পায় তবে সে যেন আশ্রয় গ্রহণ করে। [সহীহ মুসলিম : ৬৯৮৫]
উল্লিখিত হাদীসের আলোকে ফিতনার সময় করণীয় আত্মিক ও পার্থিব কাজ সম্পর্কে আমরা আলোচনা করছিলাম। আত্মিক পাঁচটি করণীয় বিগত সংখ্যায় আলোচিত হয়েছে। এ সংখ্যায় আরও দুটি আত্মিক কাজের বিবরণ তুলে ধরে পার্থিব করণীয় বিষয়েও আলোকপাত করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
৬. অন্যদের মাঝে ইসলামী জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া : শুধু নিজে দ্বীন শিখলেই চলবে না, আমাদের পরিবারের সদস্যদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে, আমাদের পরিচিতদের মধ্যে যারা ইসলামী জ্ঞানচর্চা থেকে দূরে সরে গেছে তাদেরকেও ইসলামের আলোর সন্ধান দিতে হবে। কারণ, আমরা যদি মানুষকে আল্লাহর পথে না ডাকি, অন্যরা আমাদেরকে শয়তানের দিকে ডাকবে। একজন মুসলিমের জন্য অন্যদের কাছে ইসলামী জ্ঞান তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা বুঝাতে গিয়ে সহীহ বুখারীতে নুমান ইবনে বশির রাযি. থেকে বর্ণিত চমৎকার একটা হাদীস আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কিছু মানুষ একটা জাহাজে উঠেছিল, যার কেউ ছিল উপরের তলায়, কেউ ছিল নিচের তলায়। উপরের তলার লোকদের কাছেই শুধু পানির ব্যবস্থা ছিল, তাই নিচের লোকদের পানির দরকার পড়লে তাদের উপরের তলায় যাওয়া লাগত। নিচতলার লোকেরা মনে করল, আমরা তো বারবার উপরে গিয়ে উপর তলার লোকদেরকে ডিসটার্ব করছি, কেননা, আমরা জাহাজে একটা ছিদ্র করে ফেলি, তাহলে আমরা নিচে বসেই পানি পাবো আর উপরের তলার মানুষগুলোকেও বিরক্ত করব না। এখন উপরের তলার মানুষগুলো যদি নিচের মানুষগুলোর ব্যাপারে তোয়াক্কা না করে তাহলে দুই দলই ডুবে মরবে, আর উপরের মানুষগুলো যদি নিচের মানুষগুলোকে বাধা দেয় তো দুই দলই বাঁচবে।
একইভাবে, যার মধ্যে ইসলামী জ্ঞান নাই সে অন্য মুসলিমের উপকার করতে গিয়ে ক্ষতি করে বসতে পারে। যে ইসলাম সম্বন্ধে জানে না সে শুধু নিজেই পানিতে ডুবে মরে না; নিজের অজান্তেই আশপাশের লোকগুলোকেও পানিতে ডুবায়। আর তাই আমাদের নিজেকে ইসলাম শিখলে আর পালন করলেই চলবে না, যার যতটুকু সাধ্য আছে তার সাহায্যে আমাদের পরিচিতদেরকেও ইসলাম সম্বন্ধে জানাতে হবে।
৭. ধৈর্যধারণ করা : ফিতনার সময় আমরা মানসিক চাপের মধ্যে থাকি, ফলে ছোটখাটো ঘটনাতেও নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। তাই, এই সময় আমাদের ধীরস্থির থাকতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয় কষ্টের সাথেই আছে স্বস্তি।’ [সূরা ইনশিরাহ, আয়াতক্রম : ৫-৬]
সাদ ইবনু আবী ওয়াক্কাস রাযি. হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : ‘অনতি বিলম্বেই এমন এক বিপর্যয়ের আত্মপ্রকাশ ঘটবে যখন বসে থাকা ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির চেয়ে ভালো (নিরাপদ) থাকবে, দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি হেঁটে চলা ব্যক্তির চেয়ে ভালো থাকবে, আর হেঁটে চলা ব্যক্তি দৌড়ে চলা ব্যক্তির চেয়ে ভালো থাকবে। সাদ রাযি. জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি এ ব্যাপারে কী মনে করেন যদি ফিতনাবাজ কোনো লোক আমার ঘরে প্রবেশ করে এবং আমাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তর দিলেন, ‘তুমি আদমের ছেলে (হাবিলের) মতো হয়ে যাও। কাবিল যখন হাবিলকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল তখন হাবিল বলেছিল : “আমাকে হত্যা করার জন্য তুমি আমার প্রতি হাত তুললেও তোমাকে হত্যা করার জন্য আমি তোমার প্রতি হাত তুলব না, আমি তো বিশ্বজগতের রবকে ভয় করি।” [তিরমিযী, হাদীসক্রম : ২১৯৪]
ফিতনার সময় পার্থিব যে কাজগুলো করতে হবে
১. ফিতনাগ্রস্ত মানুষকে যতদূর সম্ভব সাহায্য করা : অনেক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অকস্মাৎ দুর্ঘটনা, অত্যাচারী শাসক ইত্যাদি কারণে মানুষ ফিতনার কবলে পড়ে। এ সময় ফিতনায় পড়া মানুষগুলোকে সামর্থ্যমতো সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব। এই সাহায্য হতে পারে অর্থ দিয়ে, খাবার দিয়ে, বস্ত্র দিয়ে, আবার এটা ফিতনাগ্রস্ত মানুষের সম্পর্কে (সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে) সঠিক তথ্য সামাজিক বিভিন্ন প্লাটফর্মে তুলে ধরে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযি. হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : (কিয়ামত যখন কাছে আসবে) তখন একের পর এক ভয়াবহ ফিতনা আসবে, যেটা নতুন আসবে সেটার তুলনায় আগেরটাকে নগণ্য মনে হবে। যখন একটা ফিতনা আসবে তখন ঈমানদার বলবে, এবারই মনে হয় ধ্বংস হয়ে যাব। কিন্তু এই ফিতনা পার হয়ে যাবে, এরপর নতুন আরেকটা ফিতনা আসবে, আর ঈমানদার বলবে, এবার নিশ্চিত ধ্বংস হয়ে যাব। সে সময় যে কেউ জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পেতে চায় এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে চায়, সে যেন আল্লাহ এবং শেষ দিবসের উপর ঈমান রাখে, আর অন্য মানুষের সাথে সেইরকম ব্যবহার করে যেরকম ব্যবহার সে চায় অন্যেরা তার সাথে করুক। [সহীহ মুসলিম, হাদীসক্রম : ৪৫৪৬]
২. আইন না ভেঙে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা : অন্যায়কে ঘৃণা করা আমাদের ঈমানের অংশ। কিন্তু, তাই বলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এমন কিছু করা যাবে না যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সকল আইনসিদ্ধ উপায়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে; কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেব; কিন্তু এগুলো করবো শুধুই আইনসিদ্ধ উপায়ে।
৩. শাসক অত্যাচারী হলেও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র না ধরা : উলামায়ে কেরামের এ ব্যাপারে ইজমা (ঐক্যমত) রয়েছে যে, শাসক অত্যাচারী হলেও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা যাবে না। অত্যাচারী শাসকের বিরদ্ধে অস্ত্র ধরলে শাসক আরও হিংস্র হয়ে ওঠে, ফলে ক্ষয়-ক্ষতি আরও বেড়ে যায়। বরং, অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে ধৈর্য ধরতে হবে, যেভাবে ইসরাইলবাসী ফেরাউনের অত্যাচারের সময় ধৈর্য ধরেছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাক্কী জীবনে সুমাইয়া বিনতে খাইয়াত-সহ অন্যান্য সাহাবীদের কুরাইশবাসীরা সীমাহীন অত্যাচার করেছিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাথায় উটের নাড়ি-ভূড়ি ঢেলে দিয়েছিল; কিন্তু তাই বলে আমাদের প্রিয়নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরাইশবাসীর বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে বলেননি; ধৈর্য ধরতে বলেছিলেন।
তাবে-তাবেঈনদের যুগে ইরাকের অত্যাচারী গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ অসংখ্য মুসলিমকে হত্যা করেছিল, যার মধ্যে বহু তাবেঈন/তাবে-তাবেঈন ছিলেন। সে যুগের শ্রেষ্ঠ আলিম হাসান বসরী রহ. তারপরেও হাজ্জাজের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরার জন্য মুসলিমদের অনুমতি দেন নাই।
প্রশ্ন জাগে, শাসকের বিরুদ্ধে কখন অস্ত্র ধরা যাবে?
ইসলামের সাধারণ নীতি হলো, খারাপ কোনো কিছুকে সরানোর জন্য তার চেয়েও বেশি খারাপ কিছু করা যাবে না। শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে-
এক. যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে সে স্পষ্ট কুফরীতে লিপ্ত থাকতে হবে।
দুই. বিদ্রোহকারীদের যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার মতো সামর্থ্য থাকতে হবে।
তিন. যুদ্ধে জিতলে যে ব্যক্তিকে নেতা করা হবে সে একজন প্রকৃত সৎলোক এই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে হবে।
চার. বিদ্রোহের ফলে যদি পরিস্থিতির অবনতি হয় বা সাধারণ জনগণের জান-মালের ক্ষতির আশংকা থাকে তাহলে বিদ্রোহ বা যুদ্ধ করা যাবে না।
উল্লেখ্য, যে হাদীসগুলোর উপর ভিত্তি করে এই ফতোয়াগুলো দেওয়া হয়েছে সেই হাদীসগুলোতে এমন শাসকের কথা বলা হয়েছে যারা ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করে। কিন্তু যে সকল রাষ্ট্র ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী চলে না (গণতন্ত্র বা অন্য কোনো তন্ত্র অনুযায়ী চলে), তাদের ক্ষেত্রে এই ফতোয়া ঢালাওভাবে প্রযোজ্য নয়। সেই সব দেশের অত্যাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে কিভাবে প্রতিবাদ করতে হবে তা সেই দেশের আলেমরাই সঠিকভাবে বলতে পারবেন।
৪. মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ থাকা : মুসলিম জাতির উপর যখন কোনো ফিতনা আসবে তখন মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, সুরা কাহফে বর্ণিত গুহাবাসীর ঘটনা থেকে আমরা এই শিক্ষা পাই। অত্যাচারী রাজা যখন মুসলিমদের ইসলাম পালনে বাধা দিচ্ছিল এবং চরম অন্যায়-অত্যাচার করছিল তখন মুসলিমরা সকলে মিলে এক হয়ে গুহায় যেয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। তাই, যখন ফিতনা আসবে তখন আমাদের মুসলিম ইমামের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এমন ইমাম যিনি কোরআন ও সুন্নাহকে অনুসরণ করে চলেন।
৫. শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে কোনো তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকা : বর্তমান যুগে ফিতনার অন্যতম উৎস হলো টিভি, অনলাইন-অফলাইন সংবাদপত্র এবং সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম। বর্তমান সময়ের মিডিয়াগুলো যে সংবাদ প্রকাশ করলে তাদের স্বার্থ উদ্ধার হবে শুধু সেগুলো প্রকাশ করে, সত্যকে-মিথ্যার সাথে মিলিয়ে-মিশিয়ে এমনভাবে পরিবেশন করে যে, তাতে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার পরিবর্তে তারা সূক্ষ্মভাবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। এসব সংবাদ মাধ্যমগুলোর বানানো খবরগুলো সম্বন্ধে নিশ্চিত না হয়ে ফেসবুকে, অনলাইনে শেয়ার করার মাধ্যমে আমরা অনেক সময় নিজের অজান্তেই ভয়ানক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কলহের সূত্রপাত করি।
আমাদের মনে রাখতে হবে প্রত্যেক ফেসবুক লাইক, কমেন্ট আর প্রত্যেক শেয়ারের জন্য আমাদের জবাব দিতে হবে। কাজেই এই ক্ষেত্রে, আমরা যদি এমন কোনো ব্যক্তি বা মিডিয়ার থেকে কোনো তথ্য পাই যাকে আমরা অতীতে একাধিক সময়ে যাচাই করে সত্যবাদী রূপে পেয়েছি, শুধু তার থেকে পাওয়া তথ্যই শেয়ার করা উচিত হবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কোনো মানুষের মিথ্যুক হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে যেটা শুনে সেটাই বলে।’ [সহীহ মুসলিম]
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! যদি কোনো পাপাচারী তোমাদের নিকট কোনো বার্তা নিয়ে আসে তাহলে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞাতবশত তোমরা কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত না করো এবং পরে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও।’ [সূরা হুজুরাত, আয়াতক্রম : ৬]
৬. বিভ্রান্তিকর সকল কিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা : যে মানুষ যে লেখা পড়ে, যার সাথে চলে সে তার মতো হয়ে যায়। ফিতনার সময় যেহেতু বেশিরভাগ মানুষই দিকনির্দেশনাহীনভাবে চলে, কুরআন-সুন্নাহ থেকে দূরে সরে যায়, তাই একজন মুসলিম এই সময় সঠিকপথে থাকতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে, দরকার পড়লে নিজেকে সকল বিভ্রান্তিকর সংবাদমাধ্যম ও মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ফিতনার সময় ফিতনার দিকে (প্রয়োজনের অতিরিক্ত) তাকানো পর্যন্ত যাবে না, যে ফিতনার দিকে তাকাবে তাকেই ফিতনা পেয়ে বসবে।