کَلَّاۤ اِنَّ کِتٰبَ الۡاَبۡرَارِ لَفِیۡ عِلِّیِّیۡنَ * وَ مَاۤ اَدۡرٰىکَ مَا عِلِّیُّوۡنَ * کِتٰبٌ مَّرۡقُوۡمٌ * یَّشۡهَدُهُ الۡمُقَرَّبُوۡنَ * اِنَّ الۡاَبۡرَارَ لَفِیۡ نَعِیۡمٍ * عَلَی الۡاَرَآئِکِ یَنۡظُرُوۡنَ * تَعۡرِفُ فِیۡ وُجُوۡهِهِمۡ نَضۡرَۃَ النَّعِیۡمِ * یُسۡقَوۡنَ مِنۡ رَّحِیۡقٍ مَّخۡتُوۡمٍ * خِتٰمُهٗ مِسۡکٌ ؕ وَ فِیۡ ذٰلِکَ فَلۡیَتَنَافَسِ الۡمُتَنَافِسُوۡنَ * وَ مِزَاجُهٗ مِنۡ تَسۡنِیۡمٍ * عَیۡنًا یَّشۡرَبُ بِهَا الۡمُقَرَّبُوۡنَ * اِنَّ الَّذِیۡنَ اَجۡرَمُوۡا کَانُوۡا مِنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا یَضۡحَکُوۡنَ * وَ اِذَا مَرُّوۡا بِهِمۡ یَتَغَامَزُوۡنَ * وَ اِذَا انۡقَلَبُوۡۤا اِلٰۤی اَهۡلِهِمُ انۡقَلَبُوۡا فَکِهِیۡنَ * وَ اِذَا رَاَوۡهُمۡ قَالُوۡۤا اِنَّ هٰۤؤُلَآءِ لَضَآلُّوۡنَ * وَ مَاۤ اُرۡسِلُوۡا عَلَیۡهِمۡ حٰفِظِیۡنَ* فَالۡیَوۡمَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مِنَ الۡکُفَّارِ یَضۡحَکُوۡنَ * عَلَی الۡاَرَآئِکِ ۙ یَنۡظُرُوۡنَ * هَلۡ ثُوِّبَ الۡکُفَّارُ مَا کَانُوۡا یَفۡعَلُوۡنَ
তরজমা
১৮. কখনো নয়, নিশ্চয় নেককার লোকদের আমলনামা থাকবে ইল্লিয়্যীনে।
১৯. তুমি কি জানো ইল্লিয়ীন কী?
২০. সীলমোহরকৃত আমলনামা।
২১. আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত (ফেরেশতারা) তার তত্ত্বাবধান করে।
২২. নিশ্চয় নেককাররাই থাকবে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে।
২৩. সুসজ্জিত আসনে বসে তারা (চারদিকের সবকিছু) দেখতে থাকবে।
২৪. তুমি তাদের চেহারাসমূহে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের লাবণ্য দেখতে পাবে।
২৫. তাদেরকে পান করানো হবে সিল-আঁটা উৎকৃষ্ট পানীয়।
২৬. তার সিল হবে মিশকের। সুতরাং প্রতিযোগীরা এ বিষয়েই প্রতিযোগিতা করুক।
২৭. আর তার মিশ্রণ হবে তাসনীম থেকে।
২৮. তা এক প্রস্রবণ, যা থেকে নৈকট্যপ্রাপ্তরা পান করবে।
২৯. পাপাচারী লোকেরা (দুনিয়ায়) মুমিনদেরকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত।
৩০. আর যখন তারা মুমিনদের পাশ দিয়ে যেত তখন তারা তাদেরকে নিয়ে চোখ টিপে বিদ্রেুপ করত।
৩১. আর তারা যখন তাদের আপনজনদের কাছে ফিরে আসত, তখন (মুমিনদেরকে ঠাট্টা করে আসার কারণে) ফিরত উৎফুল্ল হয়ে।
৩২. আর তারা যখন মুমিনদেরকে দেখত তখন বলত, ‘এরা তো অবশ্যই গুমরাহ।’
৩৩. তাদেরকে তো মুমিনদের হেফাজতকারী হিসেবে পাঠানো হয়নি (মুমিনদের কৃতকর্মের হিসাব মুমিনরাই দেবে)।
৩৪. অতএব আজ মুমিনরাই কাফিরদেরকে নিয়ে হাসবে।
৩৫. সুসজ্জিত আসন হতে তাদেরকে অবলোকন করে।
৩৬. কাফিরদেরকে তাদের কৃতকর্মের প্রতিদান দেয়া হলো তো?
তাফসীর
পূর্ববর্তী আয়াতের সাথে সম্পর্ক
পূর্ববর্তী আয়াতে পাপিষ্ঠদের আলোচনা করা হয়েছে। এখানে সৎকর্মশীলদের পুরস্কার ও প্রতিদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
১৮ থেকে ২৮ নম্বর আয়াতসমূহে সৎকর্মশীলদের মৃত্যুপরবর্তী জীবন এবং শেষ-বিচারের পর তাদের জন্য জান্নাতের অগণিত অসংখ্য নেয়ামতের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
২৯ থেকে ৩৬ নম্বর আয়াতসমূহে মুসলমানদের নিয়ে কাফির-বেঈমানদের কটাক্ষের বিবরণ ও পরিণতি এবং এ ব্যাপারে মুসলমানদেরকে সান্ত্বনা প্রদান করে কাফির-বেঈমানদের সতর্ক করা হয়েছে।
আবরার কারা?
যারা তাদের ঈমানের দাবিতে সত্যবাদী, আকীদা-বিশ্বাসে যারা স্বচ্ছ ও সঠিক, সৎ চরিত্রবান তথা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের যাবতীয় নির্দেশ পালনে এবং সকল নিষিদ্ধ বিষয় বর্জনে সদাসর্বদা প্রস্তুত।
আল্লামা ইবনু আসাকির রহ. ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটি দুর্বল সনদে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তাদেরকে আবরার বলে নামকরণের কারণ হচ্ছে, তারা তাদের পিতা-মাতা ও সন্তানদের সাথে সদ্ব্যবহার করে।
ইল্লিইয়ীন কী? তার অবস্থান কোথায়?
ইল্লিইয়ীন শব্দটি ‘উলুওউন’ শব্দমূল থেকে নির্গত। একবচনে ইল্লিইয়ূন আসে। আভিধানিক অর্থে সর্বোচ্চ স্থান, সর্বোচ্চ মর্যাদা, সর্বোচ্চ স্থানে বসবাসকারী, সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী-যেখানে মুমিনদের রূহ ও আমলনামা রাখা হয়, সে স্থানকে বুঝায়।
ইল্লিইয়ীনের অবস্থান কোথায়?
১. এ ব্যাপারে মুফাসসিরীনে কেরামের বিভিন্ন মত রয়েছে। ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু’র এক বর্ণনামতে চতুর্থাকাশে। আরেক বর্ণনামতে সপ্তাকাশে।
২. কাতাদাহ ও মুকাতিল রাহমাতুল্লাহি আলাইহিমার মতে সপ্তাকাশের উপরে আরশে আযীমের ডান স্তম্ভ বা খুঁটি।
৩. ইমাম যাহহাক রহ.-এর বর্ণনামতে সিদরাতুল মুনতাহা।
৪. ইমাম ফাররা রহ. বলেন, এমন উচ্চতর স্থান যার কোনো সীমারেখা নেই।
৫. ইমাম জুযায রহ.-এর বক্তব্যমতে সর্বোচ্চ স্থান।
৬. কয়েকজন মুফাসসিরের মতে এমন উচ্চতর স্থান যা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সম্মানিত ও মহিমান্বিত করে রেখেছেন।
ইল্লিইয়ীনের অবস্থান ও একটি পর্যালোচনা
মানুষ তার স্বল্প জ্ঞানবুদ্ধির মাধ্যমে বহু কিছু আবিষ্কার করে ফেলবে, এটা মানুষেরই কল্পনায় আসেনি একটা সময়। কিন্তু কল্পনাতীত বস্তুর আবিষ্কার সেই মানুষই একসময় করেছে এবং করে চলেছে। কিন্তু মানুষের মেধা ও চিন্তাশক্তি সীমিত, একটা স্তরে গিয়ে তাকে অচল হতেই হয়। যার জ্বলন্ত প্রমাণ-এই আমাদের পৃথিবী নামক গ্রহ। যার তলদেশে অদেখা কুদরতি এমন মহাশক্তি রয়েছে, যে ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞান অচল। গবেষণার ক্ষেত্রে পৃথিবীর নিম্ন দেশের তুলনায় উপরিভাগের ব্যাপার গহীন জঙ্গলে পথহারা পথিকের মতো।
জোতির্বিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে গভীর রজনীতে তারকাখচিত যে মহাশূন্য দেখতে পাই, সেটা হচ্ছে ঝশু বা আকাশ। আর অনন্ত মহাশূন্য জুড়ে যে জায়গা ছড়িয়ে রয়েছে তাকে বলে মহাকাশ।
জোতির্বিজ্ঞানীদের বক্তব্য হলো, মহাকাশের শুরু এবং শেষ কোথায় তা আমাদের জানা নেই। তাদের দেওয়া সংজ্ঞা অনুযায়ী আকাশ হচ্ছে এক মহাশূন্যতা আর অনন্ত মহাশূন্য জুড়ে বিস্তৃত মহাকাশের একটি ক্ষুদ্র অংশ হচ্ছে আমাদের এই আকাশ। অতএব, তাদের বক্তব্যমতে আকাশের স্বতন্ত্র কোনো দেহবিশিষ্ট অস্তিত্ব নেই। কিন্তু পবিত্র কুরআন ও হাদীসের ভাষ্যমতে আকাশের স্বতন্ত্র দেহ ও অস্তিত্ব আছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, ‘যিনি স্তরে স্তরে বিন্যস্ত সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা মুলক, আয়াত-ক্রম : ৩)
এ আয়াতে কারিমা থেকে পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় যে, আকাশের স্বতন্ত্র দেহ ও অস্তিত্ব রয়েছে। কারণ আকার আকৃতিবিহীন বা অবয়বহীন কোনোকিছুকে স্তরে স্তরে সাজানো যুক্তিসংগত নয়। অন্য এক আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, তোমাদের সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আকাশকে? তিনি সেটা (আকাশ) নির্মাণ করেছেন, তিনি সেটাকে সমুন্নত ও সুবিন্যস্ত করেছেন। (সূরা নাযিআত, আয়াত-ক্রম : ২৭-২৮)
এ আয়াতে আকাশ সংক্রান্ত আলোচনায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এমন কিছু শব্দ প্রয়োগ করেছেন, যা আকাশের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব ও দেহ থাকার প্রমাণ বহন করে। নির্মাণ, সমুন্নত ও সুবিন্যস্ত করা-এগুলো মূলত বাস্তবতায় দেখার মতো বিষয়। আকাশ যদি মহাশূন্যতার নাম হয়, তাহলে আকাশের সাথে এ ধরনের শব্দ প্রয়োগ হাস্যকর হবে। বুখারী শরীফসহ বিভিন্ন হাদীসগ্রন্থে মিরাজ সংক্রান্ত যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, সেখানে এভাবে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ করতে থাকেন, তখন প্রত্যেক আকাশের দরজা বন্ধ পান। প্রতিটি আকাশের প্রহরী জিজ্ঞাসা করেছেন-‘আপনি কে?’ উত্তরে নবীজির সঙ্গী জিবরাঈল আলাইহিস সালাম বলেছেন, ‘আমি জিবরাঈল।’ আবার প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘সঙ্গে কে?’ উত্তর দেওয়া হয়েছে, ‘মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।’ আবার প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি?’ ইত্যাদি। এখানে বুঝার বিষয় হচ্ছে যে, আকাশ যদি শূন্যতার নাম হতো, তাহলে তার দরজা কেন বা কীভাবে থাকবে? আবার শূন্যতার একটি স্তরে গিয়ে এ ধরনের জিজ্ঞাসাবাদের কী প্রয়োজন? অথচ এর নিচের শূন্যতাগুলোও তো তিনি পার হয়ে এসেছেন! তাহলে পবিত্র কুরআন-হাদীসের ব্যাখ্যামতে আমাদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল যে, আকাশ স্বতন্ত্র দেহবিশিষ্ট এবং সাতটি স্তরে সুসজ্জিত। সুতরাং জোতির্বিজ্ঞানীদের কথিত আকাশ বা মহাকাশ থিওরি যে সত্য নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গেল।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে আমরা যে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র দেখতে পাই এগুলো কী?
উত্তর-১. দুনিয়ার আকাশকে সুসজ্জিত করতেই মূলত আল্লাহ তাআলা এগুলোকে প্রথম আকাশের নিচে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
উত্তর-২. এগুলো পাড়ি দেওয়ার পরও রয়েছে আরো মহাশূন্যতা। এভাবে প্রথম আকাশ থেকে দ্বিতীয় আকাশ পর্যন্ত মধ্যখানে ৫০০ বছরের ব্যবধান। এভাবে সপ্তাকাশ পর্যন্ত দীর্ঘ ব্যবধান রয়েছে। বরং তারও উপরে আরশ-কুরশীর মধ্যেও রয়েছে অনুরূপ ব্যবধান।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, ‘আমি প্রথম আকাশকে জ্যোতিমণ্ডল (গ্রহ-নক্ষত্র) দ্বারা সুসজ্জিত করেছি। (সূরা সফফাত, আয়াত-ক্রম : ৬)
তাহলে পূর্বে উল্লিখিত ইল্লিইয়ীন-এর অবস্থানের ব্যাপারে মুফাসসিরীনে কেরামের মতামতের বাস্তবতার দিক বিবেচনা করলে খুব সহজেই বোধগম্য হবে যে ইল্লিইয়ীনের অবস্থান উপরের দিকে। চাই সেটা চতুর্থাকাশ হোক বা সপ্তাকাশ। অথবা তারও উপরে আরশে আযীমের কাছে।
আবরারগণ সুসজ্জিত আসনে বসে কী দেখবেন?
জান্নাতীগণ জান্নাতে এমন কিছু নিয়ামাত উপভোগ করবে যা কখনও কোনো চোখ দেখেনি, কোনো কান এর যথাযথ বর্ণনা শোনেনি, কোনো মানুষের অন্তরাত্মা তার কল্পনাও করতে পারেনি। এখানে বিশেষ কিছু নিয়ামাতের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে যে, তাদের জন্য সেখানে সুসজ্জিত আসন বা সোফা থাকবে। জান্নাতে জান্নাতীগণের গোল বৈঠকে এমন সোফা থাকবে যে, সেখানে বসলে কেউ কারো জন্য আড়াল হবে না বরং প্রত্যেকেই প্রত্যেকের চেহারা দেখতে পাবে।
আবরারগণ বসে বসে কী দেখবেন এ ব্যাপারে মুফাসসিরদের ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে। কারো মতে জান্নাতের অগণিত অসংখ্য নিয়ামাতরাজি দেখতে থাকবেন যা তাঁদের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। অন্য বর্ণনামতে তাঁদের কল্পনাপ্রসূত বিষয়াবলি তাঁদের সামনে বাস্তবতার রূপ নিয়ে ছোটাছুটি করবে আর তারা তা উপভোগ করতে থাকবে। কেউ কেউ বলেন যে, দুনিয়ায় ঠাট্টা-বিদ্রুপকারী কাফেরগণ জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়ার পর তাদের করুণ অবস্থা আবরারগণ সুসজ্জিত সোফায় বসে অবলোকন করতে থাকবেন। উপরোক্ত বক্তব্যমতে দর্শিত বস্তুগুলির মতো বিভাজন হবে।
ইমাম রাজী রহ. বলেন, ‘আমার মতামত হচ্ছে যে, তাঁরা বসে বসে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামাত তথা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দর্শন লাভ করতে থাকবেন।’
তাঁদের পানীয় কেমন হবে?
জান্নাতীগণ তাঁদের স্তর অনুপাতে নিয়ামাতসমূহ উপভোগ করতে থাকবেন। উচ্চস্তর, মাধ্যমিক স্তর, নিম্নস্তর-তিনটি ধাপে সাজানো থাকবে জান্নাত। প্রত্যেক স্তরের নিয়ামাতের ধরন হবে আলাদা আলাদা। তবে প্রত্যেক জান্নাতীই মনে করবেন-আমি অনন্ত অসীম সুখসাগরে ডুবে আছি। আবরার বা সাধারণ জান্নাতীগণের জন্য এমন কিছু মদ বা পান পানীয় থাকবে যা সুগন্ধিযুক্ত ও সিলমোহরকৃত হবে। যার চুমুকে চুমুকে সুঘ্রাণ বের হবে। মুকাররাবুন বা সর্বোচ্চ স্তরের জান্নাতীগণের জন্য থাকবে তাসনীম নামক বিশেষ এক ধরনের ঝর্ণা। যা একমাত্র তাঁদের জন্যই প্রস্তুতকৃত এবং সেটাই জান্নাতের সর্বোৎকৃষ্ট ঝর্ণা।