কায়িদুল উলামা হযরত আব্দুল করীম শায়খে কৌড়িয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন সেসব ক্ষণজন্মা মানুষদের একজন, যিনি জীবনের সূচনালগ্নে অখণ্ড ভারত, অতঃপর স্বাধীনতাপরবর্তী পাকিস্তান, ভারত এবং সর্বশেষ বাংলাদেশে দ্বীনের সেবায় আত্মনিয়োজিত ছিলেন। দারুল উলুম দেওবন্দ যেসব মহামনীষীর জন্ম দিয়েছিল, শাইখ রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন তাঁদের অন্যতম।
এই মহান ব্যক্তিত্ব সিলেট জেলার উত্তর বিশ্বনাথের কৌড়িয়া পরগণাস্থ খাজাঞ্চী ইউনিয়নের গমরাগুল গ্রামে ১৯০১ ঈসায়ী সনে এক ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
বংশ পরিচয়
হযরত শাহজালাল মুজাররাদে ইয়ামানী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র নেতৃত্বে আগত ৩১৩ জনের ইয়ামানী কাফেলার একজন হচ্ছেন সাইয়্যিদ বাটাউক রহমতুল্লাহি আলাইহি। তাঁর ঔরসে জন্মগ্রহণ করেন সাইয়্যিদ মুতিউর রহমান ও সাইয়্যিদ আতাউর রহমান। হযরত শায়খে কৌড়িয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি হচ্ছেন তাঁদের বংশের অধস্তন কীর্তিমান পুরুষ।
তাঁর পিতার নাম আল্লামা আব্বাস আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি। আব্বাস আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি পীর, সমাজসংস্কারক, ওয়ায়েয, মুবাল্লিগ, মুনাযির, রাজনীতিবিদ, লেখক ও সাহেবে-কারামত বুযুর্গ ছিলেন।
হায়াতে আব্বাসী গ্রন্থে হযরত শায়খে কৌড়িয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি’র বংশপরিচয় এভাবে তুলে ধরা হয়েছেÑসাইয়্যিদ আব্বাস আলী ইবনে সাইয়্যিদ কালীমুল্লাহ ইবনে সাইয়্যিদ নাজীবুল্লাহ ইবনে সাইয়্যিদ মাহদী ইবনে সাইয়্যিদ শাহাবুদ্দীন ইবনে সাইয়্যিদ গোরখান।
উল্লেখ্য যে, কেবল হযরত শায়খে কৌড়িয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তদীয় নামের অগ্রভাগে কিংবা পেছনে কখনো সাইয়্যিদ লিখতেন না। তবে তাঁর পূর্বপুরুষগণের নামে সাইয়্যিদ ব্যবহার হতো।
শিক্ষাজীবন
হযরত শায়খে কৌড়িয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি’র সম্মানিতা মাতা ছিলেন একজন আবিদা, সালিহা ও শিক্ষিতা নারী। মাতা-পিতার তত্ত্বাবধানে পারিবারিকভাবে তাঁর শিক্ষাজীবনের সূচনা হয়।
পারিবারিক শিক্ষা সমাপ্ত হলে তাঁর পিতা পার্শ্ববর্তী হাজীগঞ্জ কওমী মাদরাসায় তাঁকে ভর্তি করে দেন। হযরত আব্বাস আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি কলকাতা আলিয়া মাদরাসার শিক্ষিত হলেও সরকারি মাদরাসা-শিক্ষিতদের চাল-চলন, চিন্তা-চেতনা, পোশাক-পরিচ্ছদ এমনকি সেই শিক্ষারও ঘোর বিরোধী ছিলেন।
এজন্য কিছুদিন পর হাজীগঞ্জ মাদরাসাটি সরকারিকরণ হয়ে গেলে তিনি তাঁর পুত্রকে ফুলবাড়ি কওমী মাদরাসায় ভর্তি করে দেন। ফুলবাড়ি মাদরাসাও সরকারিকরণ হয়ে গেলে তাঁকে করিমগঞ্জের ঝড়ো কওমী মাদরাসায় ভর্তি করেন। হযরত শায়খে কৌড়িয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী। করিমগঞ্জের ঝড়ো কওমী মাদরাসায় অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে সেখানকার শিক্ষা সমাপ্ত করে ভারতের জামেয়া ইসলামিয়া আমরুহা মাদরাসায় চলে যান। সেখানে নামায পড়াতে সুবিধা হবে বিবেচনায় তাঁর উস্তাদ মাওলানা ফয়াজ আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁকে কুরআনের শেষ মঞ্জিল মুখস্থ করার জন্য বললে তাহফিযুল কোরআনের প্রতি তাঁর আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। তিনি হিফয শুরু করে মাত্র এক বছরে পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেন।
জামেয়া ইসলামিয়া আমরুহাতে তিনি আল্লামা কাসিম নানুতবী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র অন্যতম শিষ্য, বায়যাবী শরীফের টিকালেখক, শাইখুল হাদীস আল্লামা হাফিয আব্দুর রহমান আমরুহী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র নিকট বুখারী শরীফ ও তিরমিযী শরীফ অধ্যয়ন করে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
এদিকে সিলেটবাসীর আমন্ত্রণে শাইখুল ইসলাম সাইয়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে সিলেটে আগমন করে ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত (৬ বছর) সিলেটের নয়াসড়কস্থ খেলাফত বিল্ডিং-এ প্রতিষ্ঠিত ‘মারকাযিয়া মাদরাসায়’ হাদীসের দারস প্রদান করেন।
শায়খে কৌড়িয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি’র পিতা, তখনকার বিখ্যাত খতীব ও বুযুর্গ ব্যক্তিত্ব আব্বাস আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র সাথে শাইখুল ইসলাম মাদানী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। কথিত আছে যে, মাদানী রহমতুল্লাহি আলাইহি নয়া সড়ক মসজিদে আব্বাস আলী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে দিয়ে মাঝে-মধ্যে বয়ান করাতেন। হযরত মাদানীর চাল-চলন, আমল-আখলাক দেখে আব্বাস আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি মুগ্ধ হয়ে যান। স্বীয় পিতার মাধ্যমে মাদানী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র সাথে কৌড়িয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি’র প্রাথমিক সম্পর্কের সূত্রপাত হয়।
১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে দারুল উলুম দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ মাদানী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে দেওবন্দের শাইখুল হাদীস পদে নিয়োগ প্রদান করলে তিনি খেলাফত বিল্ডিং থেকে চলে যান। শায়খে কৌড়িয়া রহমতুল্লাহি আলাইহিও তখন উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে তাঁর সাথে দেওবন্দ গমন করে দাওরায়ে হাদীসে ভর্তি হন। তাঁর লেখাপড়া চাল-চলন স্বভাব-চরিত্র দেখে আসাতেযায়ে কেরাম তাঁকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। বিশেষত, পরীক্ষাসমূহে মেধাতালিকায় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হওয়ায় সবার দৃষ্টি তাঁর প্রতি নিবদ্ধ হয়। তিনি প্রায় কিতাবাদিতে মোট ৫০ নাম্বারের মধ্যে ৫৫/৬০ নাম্বার অর্জন করতেন। দারুল উলুমের মেধাতালিকায় হাতেগোনা যে কজন বাংলাদেশী ছাত্র নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে শায়খে কৌড়িয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি’র নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
১৯২৯, ৩০, ৩১ খ্রিষ্টাব্দÑএ তিন বছর সেখানে হাদীস ও ফুনূনাতের বিভিন্ন বিষয় অধ্যয়ন করেন এবং তারপর তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
দারুল উলুম দেওবন্দে তাঁর উল্লেখযোগ্য উস্তাদ ছিলেনÑ মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী রহ., মাওলানা ইবরাহীম বলয়াভী রহ., মাওলানা রাসূল খাঁ রহ., শাইখুল আদব এ’যায আলী রহ., মুফতি শফী রহ. ও মাওলানা নাফে গুল রহ.।
দারুল উলূম দেওবন্দে অধ্যায়নরত অবস্থায় কারী তায়্যিব সাহেব রহ. তাঁকে দারুল উলূম মসজিদের নাইবে ইমাম নিযুক্ত করেন। শায়েখ রহ. বলেছেন, ‘হাকীমুল ইসলাম কারী তায়্যিব রহ., শাইখুল আদব আল্লামা এ’যায আলী রহ., হযরত ইবরাহীম বলয়াভী রহ.-সহ অন্যান্য আসাতিযায়ে কেরামের উপস্থিতিতে তিনি কয়েকবার জুমুআর নামাযের ইমামতি করেছেন।
পেশাগত জীবন
দেওবন্দ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর স্বীয় পিতার নির্দেশে ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে রাজাগঞ্জ মাদরাসার প্রধান হাফিয ও পরিচালক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬২ ঈসায়ী পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছর তিনি রাজাগঞ্জ জামিয়ার সাথে জড়িত ছিলেন।
১৯৫৩ সালে হযরত শায়খের বাবা মাওলানা আব্বাস আলী রহ. ইন্তিকাল করেন। ইন্তিকালের পূর্বে তিনি স্বীয় পুত্রকে রাজাগঞ্জ থেকে বাড়িতে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলে শাইখ রহ. বলেন, ‘আমি বাড়িতে আসলে আমার খোরাক দিতে হবে।’ আব্বাস আলী রহ. খোরাক কী জানতে চাইলে বলেন, ‘বাড়িতে একটি মাদরাসা করে দিতে হবে।’ আব্বাস আলী রহ. খুশিমনে তাঁর ছেলে-মেয়েদের একত্রিত করে পরামর্শক্রমে বাড়ির পাশে একটি মাদরাসা, মসজিদ, মুসাফিরখানা নির্মাণের জন্য কয়েক বিঘা জমি ওয়াকফ করে এলাকাবাসীকে অবগত করেন এবং হযরত শাইখ রহমতুল্লাহি আলাইহিকে উক্ত ওয়াকফ স্টেটের মুতাওয়াল্লী নিযুক্ত করেন। ওয়াকফকৃত ভূমির উপর পরবর্তীতে আব্বাস আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র নামে সুবিশাল মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। যা ‘জামেয়া ইসলামিয়া আব্বাসিয়া কৌড়িয়া ইসলামাবাদ’ নামে পরিচিত।
আধ্যাত্মিক জীবন
হযরত শায়খে কৌড়িয়া রহ. শাইখুল ইসলাম মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র নিকট বাইআত গ্রহণ করে ইজাযাতপ্রাপ্ত হন।
হযরত শায়খে কৌড়িয়া রহ. আত্মপ্রচারকে কখনো পছন্দ করতেন না। তাই প্রচারণামূলক যেকোনো বিষয় তিনি স্বযতেœ এড়িয়ে চলতেন। ফলে তাঁর মুরীদানের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সাধারণ লোকদের তুলনায় আলিম-ওলামাগণ তাঁর কাছে বেশি বাইআত গ্রহণ করতেন। মাদানী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র ইন্তিকালের পর তাঁর অনেক শাগরিদ ও মুরিদ শায়খে কৌড়িয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি’র সাথে পুনরায় ইসলাহী সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। এ জন্য খলীফাদের তালিকায় প্রবীণ উলামায়ে কেরামের উপস্থিতি বেশি পাওয়া যায়।
খিলাফাত ও ইজাযাতের ব্যাপারে তাঁর নীতি ছিল অত্যন্ত কঠোর। সুবিদবাজার ফাজিলচিশত এলাকার মরহুম সুলেমান খান সাহেবের মসজিদে প্রতিবছর রামাযান মাসে মুরীদানরা ইতিকাফ করার উদ্দেশ্যে সমবেত হতেন।
পুরো মাসে নামাযের মধ্যে এবং বাইরে একাধিকবার কুরআন শরীফ খতম করা হতো। অন্যান্য মামুলাতও চলত। যাঁদের সবক সমাপ্ত হতো, রামাযানের শেষ দিকে তাঁদের ইজাযাত প্রদান করতেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকজন খলীফা হচ্ছেন—
(১) মাওলানা রিয়াসত আলী চৌঘরী রহ. (আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী রহমতুল্লাহি আলাইহি’র শাগরিদ ও ঐতিহ্যবাহী জামেয়া আরাবিয়া হুসাইনিয়া রানাপিং মাদরাসার সুদীর্ঘকালের শাইখুল হাদীস)
(২) হযরত মাওলানা আশরাফ আলী বিশ্বনাথী রহ. (সাবেক সভাপতি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ)
(৩) শাইখুল হাদীস, মাওলানা শফিকুল হক আকুনী রহ. (প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম, মুজাহিরুল উলূম গাছবাড়ি কানাইঘাট)
(৪) হযরত মাওলানা তাহির আলী তহিপুরী রহ. (জামেয়া আরাবিয়া হুসাইনিয়া রানাপিং মাদরাসার সুদীর্ঘকালের মুহতামিম)
(৫) শাইখুল হাদীস মাওলানা ওয়ারিছ উদ্দীন হাজিপুরী রহ. (সিলেটের প্রবীণ শাইখুল হাদীস ও মাওলানা আব্দুল বাসিত বরকতপুরী রহ. এবং মাওলানা মজদুদ্দীন সাহেবের শ^শুর)
(৬) শাইখুল হাদীস মাওলানা হুসাইন আহমদ বারকুটি রহ. (সাবেক সভাপতি, আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লিম বাংলাদেশ)
(৭) শাইখুল হাদীস মাওলানা জিল্লুর রহমান রহ. (শাইখুল হাদীস, সিলেট আলিয়া মাদরাসা)
(৮) মাওলানা মাহমুদুল হাসান রহ. বিন মাওলানা সাহুল উসমানী রহ.।
(৯) মাওলানা শিহাবুদ্দীন রহ. (জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গার অর্ধশতাব্দী কালের শাইখুল হাদীস)
(১০) শাইখুল হাদীস মাওলানা আব্দুল হান্নান রহ. শায়খে পাগলা। (সিলেটের প্রবীণ উস্তাযুল বুখারী ও নির্বাহী সভাপতি, আযাদ দ্বীনী এদারা)
(১১) মাওলানা শিহাব উদ্দিন রহ. (প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম, জামেয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মাদপুর সিলেট)
(১২) মাওলানা ফেদাউর রহমান দরখাস্তি রহ. বিন হাফিজুল হাদীস আল্লামা আব্দুল্লাহ দরখাস্তি রহ.।
(১৩) শাইখুল হাদীস মাওলানা মকদ্দস আলী দা. বা. (টানা ৬৪ বছর ধরে সহীহ বুখারীর দরস দিচ্ছেন)
(১৪) উস্তাযুল আসাতিযা শাইখুল হাদীস মাওলানা মাসউদ আহমদ রহ. শায়খে বাঘা।
(১৫) শাইখুল হাদীস মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী দা. বা. (মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস, জামেয়া দরগাহ সিলেট)
(১৬) মাওলানা আব্দুল হাকীম দেউলগ্রামী রহ.।
(১৭) মাওলানা আব্দুর রব হাজিপুরী রহ.।
(১৮) মাওলানা আসআদ উদ্দিন গঙ্গারজলী রহ.।
(১৯) মাওলানা আব্দুন নূর ইন্দেশ্বরী রহ.। (মাদানী রহ.-এর শাগরিদ ও বেফাকের সাবেক মহাপরিচালক মাওলানা যুবায়ের সাহেবের বাবা)
(২০) মাওলানা তাহির সাহেব রহ. (ঘোড়াইল, গোয়াইনঘাট। বহু গ্রন্থপ্রণেতা)
(২১) প্রখ্যাত মুফাসসির মাওলানা আব্দুর রহমান দীঘলবাগী রহ.।
(২২) মাওলানা মুকাদ্দাস আলী রহ. (সাবেক ইমাম ও খতীব, বন্দরবাজার জামে মসজিদ)
(২৩) শাইখুল হাদীস মাওলানা মাহমুদুল হাসান দা. বা. রায়গড়ী। (মুহতামিম, লাফনাউট মাদরাসা)
(২৪) শাইখুল হাদীস মাওলানা নাযির হোসাইন দা. বা. প্রথমপাশী। (বহু গ্রন্থপ্রণেতা ও প্রবীণ মুহাদ্দিস)
(২৫) শাইখুল হাদীস মাওলানা আব্দুল মুসাব্বির দা. বা.। (মুহতামিম, মুনশিবাজার মাদরাসা, জকিগঞ্জ)
(২৬) শাইখুল হাদীস মাওলানা আউলিয়া হুসাইন দা. বা.। (রামধা মাদরাসা)
(২৭) অধ্যক্ষ মাওলানা মুহিবুর রহমান (আমেরিকা প্রবাসী। বহু গ্রন্থপ্রণেতা। সাবেক অধ্যক্ষ, সন্তোষ কলেজ, টাঙ্গাইল)
(২৮) মাওলানা আব্দুস সুবহান দা. বা. (মুহতামিম, দারুল হাদীস জাউয়া মাদরাসা)
(২৯) মাওলানা আব্দুল মালিক (সদর সাহেব) রহ. (সুনামগঞ্জের প্রবীণ আলেম)
(৩০) শাইখুল হাদীস মাওলানা ইউসুফ শ্যামপুরী দা. বা. (হরিপুর মাদরাসার শাইখুল হাদীস)
দ্বিতীয় পর্ব পড়বেন আগামী সংখ্যায়, ইনশাআল্লাহ।
লেখক : ছোট সাহেবযাদা, হযরত শায়খে কৌড়িয়া রহ